'ফেসবুক' বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এর মাধ্যমে যে কেউ তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো, অনুভূতি, মুহূর্তগুলো পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করতে পারে। প্রায় এক দশক আগে মার্ক জুকারবার্গ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজ সারা বিশ্বে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা শত কোটি অতিক্রম করেছে। বর্তমানে বিশ্বে যতগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে, তার শীর্ষে পৌঁছেছে।
আর তাই ফেসবুকের উপর আসছে কঠোর নিয়ন্ত্রন। ফেসবুক নীতিমালা মেনে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যম সবাইকে ব্যবহার করতে হবে বাধ্যতামূলক । ফেসবুকে আজেবাজে পোস্ট নিয়ে কতৃপক্ষ প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিল । এবার সে চিন্তার আলোকেই ফেসবুককে সত্যিকারের সামাজিক করার চিন্তা করছে ফেসবুক কতৃপক্ষ। ফেসবুকের এ নতুন পদ্ধতি সিস্টেমটি মাতাল ও সংযমী ছবিগুলোর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারবে । এই ব্যবস্থা ছবি পোস্ট করার সময় প্রশ্ন করা হবে, ‘আপনি কি নিশ্চিত যে, আপনার বস্ ও আপনার মা এই ছবিটি দেখুক ?’
ফেসবুকের আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স রিসার্চ ল্যাবের প্রধান এই নতুন পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন । ইয়ান লিকান ওয়্যারড ম্যাগাজিনকে বলেন, ফেসবুকে একটি ডিজিটাল সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতে চান তিনি। ইয়ান লিকান আরও বলেন , অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যবহারকারীর ছবি আপলোড করলে তা চিহ্নিত করতে সহায়তা করতে পারে এই ব্যবস্থা।ফেস চিহ্নিতকরণ ও ঠিকমতো এগুলো ট্যাগ করার কাজে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে ইমেজ রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ফেসবুক। নিউজ ফিডের জন্য সঠিক কন্টেন্ট চিহ্নিত করতে ফেসবুকের সার্বিক আচরণ পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ইন্টেলিজেন্স ডিজিটাল অ্যাসিস্টেন্স বন্ধুদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগে মধ্য¯’তা করবে।
ফেসবুকের অনিয়ন্ত্রিত এবং অবৈধ ব্যবহার বাদ দিলে আমরা সবাই বুঝতে পারি যে ফেসবুক কতটা যুগোপযোগী এবং একটি অসাধারন যোগাযোগ মাদ্ধম । তাই আমাদের ফেসবুকের প্রকৃত আধুনিক এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার করতে হবে।/div>
সুত্রঃ বিবিসি
সুত্রঃ বিবিসি
ConversionConversion EmoticonEmoticon