আমরা জানি পৃথিবী থেকে মাত্র একটি সূর্য দেখা যায়। কিন্তু এই ভিডিওটিতে
দেখা যাচ্ছে একটি নয়, বরং তিন তিনটি সূর্য আলো ছড়াচ্ছে মঙ্গোলিয়ার আকাশে।
দি গার্ডিয়ান নিউজ সাইটে ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত ভিডিওটি দেখে অবাক হতে পারেন অনেকেই, কিন্তু আজ থেকে শতাব্দি শতাব্দি আগে প্রাকৃতিক এই ঘটনাকে অপয়া বলে মনে করা হতো। এই ঘটনাকে বলা হয় পারহেলিয়ন। বাতাসে ভেসে থাকা বড় ষড়ভুজ তুষারকণার মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের ফলে একটি সূর্যের জায়গায় দেখা যায় তিনটি সূর্য। এসব তুষারকণা প্রিজমের মতো কাজ করে। অনেক সময়ে এর কারণে সূর্যের চারপাশে একটি গলাকার রিং এর মতো আলোকছটা দেখা যায়। সূর্যোদয়ের সময়ে এ ঘটনা ঘটলে সানডগগুলো ধীরে ধীরে সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। সূর্যের কাছে থাকলে এদেরকে লালচে মনে হয় এবং দূরে যেতে থাকলে এরা ক্রমশ হলুদ, কমলা এবং শেষের দিকে নীলচে হয়ে যায়।
মঙ্গোলিয়ায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় আসল সূর্যটি মাঝখানে আছে এবং এর
দুইপাশে সূর্যের দুইটি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সূর্যের এই প্রতিফলনগুলোকে
বলা হয় সানডগ বা ফ্যান্টম সান। যদিও এই ঘটনাটি বেশ বিরল, এদেরকে পৃথিবীর যে
কোনো এলাকায় দেখা যাওয়া সম্ভব।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ এবং ৩২২ সালের মাঝে এক সময়ে এই ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন অ্যারিস্টটল। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০ এবং ২৪০ সালের মাঝে কবি আরাটাস নিজের লেখাতেও এদের ব্যাপারে বলেন এবং বলা হয় আসন্ন ঝড়ের লক্ষণ হলো এসব পারহেলিয়ন। আবার দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দের এক ভবিষ্যৎদ্রষ্টা অ্যার্টেমিডোরাস এদেরকে দেবতার সাথে তুলনা করেন। রোমান লেখক সিসেরো এবং সেনেকার লেখাতেও এদের কথা বলা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখায় এদেরকে যুদ্ধবিগ্রহের অশুভ লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।
ভিডিও দেখুন এখানে
দি গার্ডিয়ান নিউজ সাইটে ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত ভিডিওটি দেখে অবাক হতে পারেন অনেকেই, কিন্তু আজ থেকে শতাব্দি শতাব্দি আগে প্রাকৃতিক এই ঘটনাকে অপয়া বলে মনে করা হতো। এই ঘটনাকে বলা হয় পারহেলিয়ন। বাতাসে ভেসে থাকা বড় ষড়ভুজ তুষারকণার মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণের ফলে একটি সূর্যের জায়গায় দেখা যায় তিনটি সূর্য। এসব তুষারকণা প্রিজমের মতো কাজ করে। অনেক সময়ে এর কারণে সূর্যের চারপাশে একটি গলাকার রিং এর মতো আলোকছটা দেখা যায়। সূর্যোদয়ের সময়ে এ ঘটনা ঘটলে সানডগগুলো ধীরে ধীরে সূর্য থেকে দূরে সরে যেতে থাকে। সূর্যের কাছে থাকলে এদেরকে লালচে মনে হয় এবং দূরে যেতে থাকলে এরা ক্রমশ হলুদ, কমলা এবং শেষের দিকে নীলচে হয়ে যায়।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ এবং ৩২২ সালের মাঝে এক সময়ে এই ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন অ্যারিস্টটল। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০ এবং ২৪০ সালের মাঝে কবি আরাটাস নিজের লেখাতেও এদের ব্যাপারে বলেন এবং বলা হয় আসন্ন ঝড়ের লক্ষণ হলো এসব পারহেলিয়ন। আবার দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দের এক ভবিষ্যৎদ্রষ্টা অ্যার্টেমিডোরাস এদেরকে দেবতার সাথে তুলনা করেন। রোমান লেখক সিসেরো এবং সেনেকার লেখাতেও এদের কথা বলা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখায় এদেরকে যুদ্ধবিগ্রহের অশুভ লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়।
ভিডিও দেখুন এখানে
ConversionConversion EmoticonEmoticon